পারস্য-রাজ কোরসের তৃতীয় বৎসরে বেল্টশৎসর নামে আখ্যাত দানিয়েলের নিকটে এক বাক্য প্রকাশিত হইল, সেই বাক্য সত্য, ও মহাযুদ্ধসূচক; তিনি বাক্য বুঝিলেন, সেই দর্শনও বুঝিতে পারিলেন।
সেই পূর্ণ তিন সপ্তাহ যাবৎ সাঙ্গ না হইল, তাবৎ সুস্বাদু খাদ্য ভোজন করিলাম না, মাংস কি দ্রাক্ষারস আমার মুখে প্রবেশ করিল না, এবং আমি তৈল মর্দ্দন করিলাম না।
পরে তিনি আমাকে কহিলেন, হে মহাপ্রীতি-পাত্র দানিয়েল, আমি তোমাকে যে যে কথা বলিব, সে সকল বুঝিয়া লও, এবং উঠিয়া দাঁড়াও, কেননা আমি এখন তোমারই কাছে প্রেরিত হইলাম। তিনি আমাকে এই কথা কহিলে আমি কাঁপিতে কাঁপিতে উঠিয়া দাঁড়াইলাম।
তখন তিনি আমাকে কহিলেন, হে দানিয়েল, ভয় করিও না, কেননা যে প্রথম দিন তুমি বুঝিবার জন্য ও তোমার ঈশ্বরের সাক্ষাতে আপনাকে বিনীত করিবার জন্য মনঃসংযোগ করিয়াছিলে, সেই দিন হইতে তোমার বাক্য শুনা হইয়াছে; এবং তোমার বাক্য প্রযুক্ত আমি আসিয়াছি।
কিন্তু পারস্য-রাজ্যের অধ্যক্ষ একুশ দিন পর্য্যন্ত আমার প্রতিকূলে দাঁড়াইলেন। পরে দেখ, প্রধান অধ্যক্ষদের মধ্যে মীখায়েল নামক এক জন আমার সাহায্য করিতে আসিলেন; আর আমি সে স্থানে পারস্যের রাজগণের কাছে রহিলাম।
আর দেখ, মনুষ্য-সন্তানদের আকৃতিবিশিষ্ট এক ব্যক্তি আমার ওষ্ঠাধর স্পর্শ করিলেন; তখন আমি মুখ খুলিয়া কথা কহিলাম, যিনি আমার সম্মুখে দাঁড়াইয়াছিলেন, তাঁহাকে কহিলাম, হে আমার প্রভু, এই দর্শন প্রযুক্ত মর্ম্মবেদনা আমাকে ধরিয়াছে, কিছুমাত্র বল রক্ষা করিতে পারিতেছি না।
আর তিনি কহিলেন, হে মহাপ্রীতি-পাত্র, ভয় করিও না, তোমার শান্তি হউক, সবল হও, সবল হও। তিনি আমার সহিত আলাপ করিলে আমি সবল হইলাম, আর বলিলাম, আমার প্রভু বলুন, কেননা আপনি আমাকে সবল করিয়াছেন।
তখন তিনি কহিলেন, আমি কি জন্য তোমার কাছে আসিয়াছি, তাহা কি জান? এখন আমি পারস্যের অধ্যক্ষের সহিত যুদ্ধ করিতে ফিরিয়া যাইব; আর দেখ, আমি চলিয়া গেলে যবনের অধ্যক্ষ আসিবে।