তখন সদাপ্রভু তাঁহার বিরুদ্ধে কল্দীয়দের, অরামীয়দের, মোয়াবীয়দের ও অম্মোন-সন্তানগণের অনেক লুটকারী সৈন্যদল প্রেরণ করিলেন; সদাপ্রভু আপন দাস ভাববাদিগণের দ্বারা যে বাক্য বলিয়াছিলেন, তদনুসারে যিহূদাকে বিনষ্ট করিবার জন্য তাহার বিরুদ্ধে তাহাদিগকে পাঠাইলেন।
তাঁহার কৃত সমস্ত কার্য্য, এবং তাঁহার কৃত নির্দ্দোষদিগের রক্তপাত; কারণ তিনি নির্দ্দোষদের রক্তে যিরূশালেমকে পরিপূর্ণ করিয়াছিলেন, আর সদাপ্রভু ক্ষমা করিতে চাহিলেন না।
তাহার পরে মিসর-রাজ আপন দেশের বাহিরে আর আসিলেন না, কেননা মিসরের স্রোত অবধি ফরাৎ নদী পর্য্যন্ত মিসর-রাজের যত অধিকার ছিল, সে সকলই বাবিল-রাজ হরণ করিয়াছিলেন।
যিহোয়াখীন আঠার বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন, এবং যিরূশালেমে তিন মাস রাজত্ব করেন; তাঁহার মাতার নাম নহুষ্টা, তিনি যিরূশালেম-নিবাসী ইল্নাথনের কন্যা।
আর সদাপ্রভু যেমন বলিয়াছিলেন, তেমনি তিনি তথা হইতে সদাপ্রভুর গৃহের সমস্ত ধন ও রাজবাটীর সমস্ত ধন লইয়া গেলেন, এবং ইস্রায়েল রাজ শলোমন সদাপ্রভুর মন্দিরে যে সকল স্বর্ণময় পাত্র নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন, সে সকলও কাটিয়া ফেলিলেন।
আর তিনি যিরূশালেমের সমস্ত লোক, সমস্ত প্রধান লোক ও সমস্ত বলবান বীর, অর্থাৎ দশ সহস্র বন্দি, এবং সমস্ত শিল্পকার ও কর্ম্মকারকে লইয়া গেলেন; দেশের দীন দরিদ্র লোক ব্যতিরেকে আর কেহ অবশিষ্ট থাকিল না।
আর বাবিল-রাজ সমস্ত পরাক্রমী লোককে অর্থাৎ সপ্ত সহস্র লোককে, এবং শিল্পকার ও কর্ম্মকার এক সহস্রকে বন্দি করিয়া বাবিলে লইয়া গেলেন; তাহারা সকলে বীর্য্যবান্ ও রণদক্ষ লোক ছিল।
কারণ সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রযুক্ত, যাবৎ তিনি তাহাদিগকে আপনার সাক্ষাৎ হইতে দূরে ফেলিয়া না দিলেন, তাবৎ যিরূশালেমে ও যিহূদায় এইরূপ ঘটনা ঘটিল। আর সিদিকিয় বাবিল-রাজের বিদ্রোহী হইলেন।